IQNA

পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ, ইন্দোনেশিয়ায় শীর্ষ ইসলামী নেতা গ্রেপ্তার, গুলিতে ৬ জনের মৃত্যু

10:43 - December 15, 2020
সংবাদ: 2611962
তেহরান (ইনকা): ইন্দোনেশিয়ার কট্টরপন্থী ইসলামী নেতা রিজিক শিহাবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। করোনাভাইরাস মহামারির মাঝে ধর্মীয় সমাবেশ করে সাধারণ জনগণকে করোনা ঝুঁকির মধ্যে ফেলার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, তাকে গ্রেপ্তারের আগেই তার দল ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্টের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সংঘর্ষে ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্টের অন্তত ৬ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। নিহত নেতাকর্মীদের ব্যাপারে পুলিশের বিবৃতি, রিজিক শিহাবের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তকালে তারা হঠাৎ করে অনিরাপদ বোধ করলে তার সমর্থকদের ওপর গুলি করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাসনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গতমাসে নির্বাসন থেকে ফিরে তিনি একাধিক ধর্মীয় সমাবেশ করেন। এতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে আরো হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও রিজিক শিহাব ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতাদের একজন। ধর্মীয় গুরু হলেও বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক ইস্যুগুলোতে তার সরব ভূমিকা থাকার কারণে তার অনুসারীরা বিভিন্ন সময়েই নানা উত্তেজনার জন্ম দিয়ে থাকে।

রয়টার্স আরও জানায়, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর সঙ্গে রিজিক শিহাবের সরাসরি দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন হিসেবে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মনে করছেন রিজিক শিহাবের অনুসারীরা।

ওদিকে, শিহাবকে গ্রেপ্তারের পর সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অধিকতর তদন্তের জন্য তাকে আরও ২০ দিন আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে তার দীর্ঘ কারাবাস হতে পারে। তবে এই ধর্মীয় নেতা দেশের জন্য ভয়ংকর বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম ধর্ম অবমাননার অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছেন রিজিক শিহাব এবং তার অনুসারীরা। এর আগে গত ২০১৭ সালে পর্নোগ্রাফিক মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে ধর্মীয় নেতা রিজিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেবার আটক হওয়া থেকে বাঁচতে দেশত্যাগ করেছিলেন এই নেতা।

এ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আইনমন্ত্রী মাহফুদ মোহাম্মদ বলেন, এ ধরণের প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি। ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে তার দল।
সূত্র: রয়টার্স।

captcha