তিনি বলেন, ইরানি জনগণের দুর্ভোগ-দুর্দশায় বলদর্পী শক্তিগুলো উল্লসিত, যেমনটি উল্লসিত হয়েছিল ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দামের সামরিক বাহিনী ইরানি সেনা ও সীমান্তবর্তী শহরে রাসায়নিক গ্যাস হামলার পর।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকার একতরফা ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞার কারণে করোনা মোকাবেলায় ইরান যেমন বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানি করতে পারে নি তেমনি ইরাকি বাহিনীর যখন ইরানের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালিয়েছিল তখনো নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানি করতে সক্ষম হয় নি।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী এবং ওষুধ না পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে নিজের সমস্যা সমাধানের পথ বের করে নিয়েছে ইরান। তিনি বলেন, এটাই বাস্তবতা যখন একজন নার্স তার প্রচেষ্টা এবং আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে একজন রোগী ও তার প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলেন সেটি প্রকৃতপক্ষে বিদ্বেষপরায়ণ বলদর্পী বিশ্বের বিরুদ্ধে লড়াই হয়ে ওঠে। ইসলামি ইরানে নার্স সম্প্রদায়ের এ কারণে দ্বিগুণ সম্মান রয়েছে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “করোনাভাইরাসের মহামারির ভেতরে একথা পরিষ্কার হয়েছে যে, আমাদের নার্স সম্প্রদায় যদি অনেক বেশি শক্তিশালী না হতো তাহলে এই মহামারী আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতো।”
সাইয়েদা জয়নাব সালামুল্লাহ আলাইহার পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইরানের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে আজ (রোববার) তার দপ্তরে দেখা করতে যান। এ সময় সর্বোচ্চ নেতা উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। হযরত জয়নাব সালামুল্লাহ আলাইহার জন্মদিনকে ইরানে জাতীয় নার্স দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সর্বোচ্চ নেতা ইরানি নার্সদের আত্মত্যাগের বিষয়গুলো শিল্পকলার মাধ্যমে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি নারীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলেন, তারা হলেন ধৈর্যের মহাসাগর। তিনি বলেন, সাইয়েদা জয়নাব আধ্যাত্মিকতা ও বুদ্ধিমত্তার বিরাট সক্ষমতা প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি মূলত দু'টি বিষয় দেখিয়ে গেছেন, তার প্রথমটি হচ্ছে- একজন নারী ধৈর্যের মহাসাগর হতে পারেন। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে- একজন নারী জ্ঞান এবং বিচক্ষণতা চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠতে পারেন।