বার্তা সংস্থা ইকনা: হাই-টেক ক্যামেরার মাধ্যমে সঠিক ও নির্ভুল জরিপ বের করা সম্ভব হয়েছে। মানব ইতিহাসে আরবাইন তথা ইমাম হুসাইন (আ.)এর চেহলুমের পদযাত্রা সর্ববৃহৎ পদযাত্রা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই পদযাত্রায় সকল জিয়ারতকারীদেরকে থাকা-খাওয়া সহ সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা বিনামূল্যে এবং নিঃস্বার্থে প্রদান করা হয়।
হযরত আব্বাস (আ.)এর পবিত্র মাজারের ট্রাস্টি বোর্ডে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, চলতি বছরে হাই-টেক ক্যামেরার মাধ্যমে জিয়ারতকারীদের সঠিক পরিসংখ্যান বের করা সম্ভব হয়েছে।
১৪৩৮ হিজরির সফর মাসের ৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এই পরিসংখ্যান করা হয়েছে। পবিত্র নগরী কারবালার প্রধান তিনটি প্রবেশপথ তথা বাগদাদ - কারবালা, নাজাফ - কারবালা এবং বাবিল - কারবালায় উন্নত মানের ক্যামেরা ফিট করে এই জরিপ করা হয়েছে।
রাত্রে যথেষ্ট পরিমাণ আলো না থাকার দরুন রাত্রের যায়েরদের এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও আল-আতিশা – কারবালা এবং এইনুত তামর – কারবালার পথ যেসকল যায়ের ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাযার জিয়ারত করেছেন তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র যারা পায়ে হেটে কারবালায় প্রবেশ করেছেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ গাড়ি অথবা বাস সহ অন্যান্য যানবাহনে চড়ে যারা কারবালায় প্রবেশে করেছেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
হযরত আব্বাস (আ.)এর পবিত্র মাযারের পক্ষ থেকে যে পরিসংখ্যান করা হয়েছে সেই অনুযায়ী ১৪৩৮ হিজরির সফর মাসের ৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ১১২১০৩৬৭ জন যায়ের পায়ে হেটে ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাযার জিয়ারত করেছেন।
উল্লেখ, ইরাক সহ বিভিন্ন অন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে, চলতি বছরে ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাযার জিয়ারত করার জন্য আরবাইনে আড়াই কোটির ঊর্ধ্বে [আহলে বায়েত (আ.)এর ভক্ত] জিয়ারতকারী উপস্থিত হয়েছেন।