বার্তা সংস্থা ইকনা: হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার কলম্বো পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকার এই খবর জানিয়েছেন।
রোববারের ওই হামলায় দেশটিতে আজ জাতীয় শোক দিবেস পালন করা হচ্ছে। আর মধ্যরাত থেকে সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে শ্রীলংকার সরকার।
শ্রীলংকার পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩৯ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তাছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরো ২৮ জন।
এদিকে গতকালও শ্রীলংকায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোয় বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরক ভর্তি প্যাকেট পাওয়ার পর তা নিষ্ক্রিয় করে শ্রীলংকার বিমানবাহিনী।
একইদিন বিকেলে কলম্বোর কোচচিকাদের সেইন্ট অ্যান্থনি চার্চের বাইরে জামপেত্তাহ সড়কে একটি গাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়া যায়। এরপর স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটের সদস্যরা গাড়িতে রেখেই বোমাটির নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটায়।
এছাড়া দেশটির ম্যানার সিটির একটি বাগান থেকে ড্রামভর্তি বিস্ফোরক উদ্ধার করার পর সেগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়।
সিরিজ বোমা হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রাজিথা সেনারত্নে। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) নামের একটি চরমপন্থী দল জড়িত। তবে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সহায়তা ছাড়া এ হামলা সফল হতো না।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শ্রীলংকার এই হামলার ঘটনার তদন্তে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (এফবিআই) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় চার মার্কিন নাগরিক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
হামলার ঘটনায় শ্রীলংকার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত দেশটির পুলিশ ৪০ জন সন্দেহভানকে গ্রেফতার করেছে। iqna