বার্তা সংস্থা ইকনা: গত বছরের শেষ সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম সংগঠিত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা ১২টি দেশে ২১ বার সন্ত্রাসী অভিযান চালিয়েছে। সন্ত্রাসীদের এসকল অভিযানে ২৬৬ জন নিহত হয়েছেন।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সন্ত্রাসীদের কার্যক্রমের ফলে এর আগের সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে (২০১৮ সালের শেষ সপ্তাহে) ৫৮ জন বেশী নিহত হয়েছে। অধিকাংশ অপারেশন চালিয়েছে দায়েশ, তালেবান, বোকো হারাম, সোমালিয়ার আশ-শাবাব আন্দোলন, তাহরির আশ-শাম, জেইশ মুহাম্মাদ (কাশ্মীরের জঙ্গী)।
মিশরের তাকফিরি ফতওয়া ওয়াচ এবং দারুল ইফতার আওতাধীন চরমপন্থি ভোট সংস্থা বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীরা রাস্তা, বাজার এবং উন্মুক্ত স্থানে ৬টি হামলা চালিয়েছে।
এছাড়াও ২০১৮ সালের শেষ সপ্তাহে সোমালিয়ায় সন্ত্রাসীরা ৪ বার হামলা চালিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুর্কিনা ফাসো, লিবিয়া, কঙ্গো, সোমালিয়া এবং ক্যামেরুনে সন্ত্রাসীরা অভিযান চালিয়েছে। এরফলে বোঝা যাচ্ছে যে, সন্ত্রাসীরা এই মহাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এরমূল কারণ হচ্ছে এসকল দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সন্ত্রাসীরা সহজেই তাদের স্থান খুঁজে পাচ্ছে।
মিশরের তাকফিরি ফতওয়া ওয়াচ এবং দারুল ইফতার আওতাধীন চরমপন্থি ভোট সংস্থা এই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছে, সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালের শেষ সপ্তাহে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাহরির আশ-শাম সেদেশে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে একটি হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ১০ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী নিধন অভিযানের ফলে সেদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু সিরিয়া এবং ইরাক মধ্যে এই পরিসংখ্যান হ্রাস আপেক্ষিক। দায়েশ ও আল-কায়েদার নীরব কোর সেদেশে আবারও জেগে উঠতে চেষ্টা করছে। কারণ, তাদের বেঁচে থাকার শর্ত হচ্ছে দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।