আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় কল্যাণ নির্ধারণি পরিষদের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হযরত আয়াতুল্লাহ হাশিমি রাফসানজানি বলেছেন, পবিত্র কুরআন মানব জাতি হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার কিতাব। তাই কুরআনের আয়াতসমূহ এমন ভাষাতে ব্যাখ্যা ও তাফসীর করা প্রয়োজন; যাতে সকলের বোধগম্য হয়।
বার্তা সংস্থা ইকনা: প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় কল্যাণ নির্ধারণি পরিষদের সভাপতি ও
সাবেক রাষ্ট্রপতি হযরত আয়াতুল্লাহ হাশিমি রাফসানজানি আজ ১লা নভেম্বর ইরানের আযাদ ইউনিভার্সিটির
২৩তম পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতার সমাপণি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন: পবিত্র কুরআন আল্লাহর
পক্ষ থেকে নাযিলকৃত আসমানি কিতাব। এ কিতাবকে যে কোন উপায়ে ব্যবহার করা হবে সওয়াবের
অধিকারী হওয়া সম্ভব। কুরআন তিলাওয়াত, কু
রআনের লিখন,
কুরআনের তাফসীর ও ব্যাখ্যা,
কুরআনের মুদ্রণ প্রভৃতি প্রত্যেক
কাজেই সওয়াব ও বরকত রয়েছে। এগুলো মানুষকে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে সহায়তা করে।
তিনি বলেন: পবিত্র কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলের (সা.) জন্য সর্বোত্তম মোজেযা;
যেমনভাবে অন্যান্য
নবীদের জন্যও আল্লাহ মোজেযা প্রেরণ করেছেন- হযরত মুসার (আ.) জন্য আল্লাহ লাঠি প্রেরণ
করেন; যা ফিরাউনের অনুসারীদের পরাস্ত করেছিল। তেমনভাবে পবিত্র কুরআন আবর ভূ-খণ্ডে নাযিল
হয়েছে এবং তা কুরাইশদের সব চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
হযরত আয়াতুল্লাহ হাশিমি রাফসানজানি আরো বলেন: আমি সব সময় এমন আকিদাতে বিশ্বাসী
যে পবিত্র কুরআনকে সহজ ও সাধারণ মানুষের বোধগম্য উপায়ে তাফসীর করা প্রয়োজন;
যাতে কুরআনের বিধানাবলী সাধারণ মানুষের
বোধগম্য হয়।
iqna